ধূমপান ছাড়তে চান কিন্তু পারছেন না তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
ধূমপান ছাড়তে চান কিন্তু পারছেন না তাহলে এই ভিডিওটি আপনার জন্য ধূমপান ছাড়তে গিয়ে অনেকেই মাঝপথে মনোবল হারিয়ে ফেলেন তাই প্রথমেই বুঝিয়ে বলছি ধূমপান করলে আপনার শরীরের ভেতরে কী কী ঘটে এতে আপনার ইচ্ছাশক্তি মজবুত হবে আপনারা জানেন অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না আমাদের নিঃশ্বাসের সাথে অক্সিজেন প্রথমে ফুসফুসে যায় সেখান থেকে ঢুকে যায় রক্তে ফুসফুসে আছে কটি কটি বায়ু থলি
এই বায়ুথলি দিয়েই ফুসফুস থেকে অক্সিজেন রক্তে প্রবেশ করে ধূমপান আপনার ফুসফুসের বায়ুথলির গুলোকে ধ্বংস করতে থাকে একবার ধ্বংস হলে বায়ুথলি আবার নতুন করে তৈরি হয় না কটি কটি বায়ু থলি থাকার কারণে কিছু নষ্ট হলে আমরা বুঝতে পারি না তবে নীরবে ফুসফুসের ক্ষতি হতে থাকে দিনে দিনে অনেক পরিমান বায়ুথলির অংশগুলি শুরু হয় শ্বাসকষ্টের রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তা থেকে আর পুরোপুরি সেরে ওঠার উপায় নেই শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সার. breathing problems after quitting smoking
অন্তত 25 গুণ ফুসফুস নয় সবখানি ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে ধূমপান পাকস্থলী লিভার কিডনি মূত্রথলি জরায়ু এমন লম্বাটে লিস্ট কিছু বলতে শুনেছি ঝুঁকি বাড়ায় তার মানে হতেও পারে নাও পারে আমার হয়তো হবেনা এই চিন্তা যারা করেন তাদের জন্য দুইটা সংখ্যা তুলে ধরছি এক যারা ধূমপান করে তাদের প্রতি দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটায় ধূমপান মৃত্যুর কারণ আছে সবগুলো কারণ মিলে 50 জন ধূমপান মৃত্যু ঘটায় বাকি 50 জনের মৃত্যু ধূমপান একাই ঘটায় 28 থেকে 10 বছর আছেন অর্থাৎ আপনার বন্ধু 70 বছর বাচলে আপনার বাঁচার সম্ভাবনা 60 থেকে 62 বছর আবার কিছু ধূমপানকারী আছেন তারা বলেন মৃত্যু যখন আসবে আসবেন ক্যান্সারের ভয় করিনা যতদিন বেঁচে আছি ততদিন.
আনন্দে বাঁচতে চাই এখানে সমস্যাগুলো ধূমপান মৃত্যুর আগেও আপনার আনন্দ সহ্য করতে পারেনা অনেকভাবে বাঁচাতে পারে কয়েকটি প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া বাচ্চা হতে সমস্যা হওয়া বাচ্চা হলে বাচ্চার শরীরে জন্মগত ত্রুটি থাকা অল্প বয়সে চামড়ায় ভাঁজ পড়া আর নরম হয়ে যাওয়া যে কারণে সহজেই হাড় ভেঙে যেতে পারে দাঁত মাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়া দাঁত পড়ে যাওয়া চোখে ছানি পড়া শুরু প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া যে কারণে করো না হলে
এখন আর ধূমপান ছেড়ে কোন লাভ হবে না এটা সম্পূর্ণ ভুল একটা কথা আপনি যতদিন ধরে ধূমপান করেন না কেন সেই মুহূর্ত থেকে আপনি ধূমপান ছাড়বেন তখন থেকেই আপনার শরীর নিজেকে মেরামতের কাজ শুরু করে দিবে কি মেরামত করে শেষ সিগারেট খাওয়ার 20 মিনিটের মধ্যেই হার্টবিট আর ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে আধঘণ্টার মধ্যে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক হতে শুরু করে 48 ঘণ্টার মধ্যে শরীর থেকে সব ক্ষতিকর কার্বন-মনোক্সাইড দূর হয়ে যায় না
ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক এ নেমে আসে আর 15 বছর পরে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আর যে কখনো ধূমপান করেনি তার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সমান হয়ে যায় দারুন ব্যাপার তাই না আশাকরি আপনার ধূমপান ছাড়ার মনোবল শক্ত হয়েছে এখন বলে দিচ্ছি ধূমপান ছাড়ার সাতটি পরামর্শ এক সিগারেটে আর একটাও দাম দেয়া যাবে না যখন আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন ধূমপান ছাড়বেন তারপর থেকে আর একটা সিগারেট ব্যবহার করবেন না
সময় নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখবেন যেমন আপনি যদি সন্ধ্যার খাবার পড়ে সিগারেট খান তাহলে হয়তো আপনি খাওয়ার পরে সোজা উঠে বাসন-কোসন হতে চলে যাবেন কিছু খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় এবং আরও আকর্ষণীয় করে তোলে সেগুলো হলো মাংস চা-কফি কোমল পানীয় ইত্যাদি এগুলো পরিহার করবেন আবার কিছু খাবার ধূমপানের সাত কেবি বানিয়ে ফেলে যেমন ফলমূল-শাকসবজি তাই এগুলো বেশি বেশি খাবেন দুই দিন আপনার খারাপ লাগবে
একটু আগেই বলেছে প্রথম কয়েক দিনে শরীরে কি কি পরিবর্তন ঘটে 3 ধূমপানের ইচ্ছা দমন করার উপায় বের করে রাখতে হবে যখন সিগারেট একটা টান দিতে খুব ইচ্ছা করবে তখন সেটা ঠেকানোর চেষ্টা করবেন এই ধারণা দুই মিনিটের মাথায় সবচেয়ে প্রবল হয় তাই নিজের মনকে অন্যদিকে নিতে হবে কিভাবে করতে পারে তিনটা উপায় বলছি 11
করে না বা ধূমপান ছেড়েছে এমন বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাবেন কেউ আপনাকে ধূমপান করতে বললে তাকে কি ভাবেন না করবেন সেটা চিন্তা করে রাখবেন বলতে পারেন আমি তো ধূমপান ছেড়ে দিয়েছি বা ধন্যবাদ আমি ধুমপান করি না এমন বন্ধু যদি থাকে যারা ধূমপান ছাড়তে সফল হয়েছে তাদের কাছ থেকে শুনতে পারেন যে তারা কি কি উপায় অবলম্বন করেছিল নিয়মিত ব্যায়াম করবেন প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে ব্যায়াম করলেও তা ধূমপানের ইচ্ছা কমাতে সাহায্য করতে পারে 6 কিছু ওষুধ নিকোটিন ইনহেলার আপনাকে সাহায্য করতে পারে
হবেন না কোন পরিস্থিতিতে আপনি আর নিজেকে আটকাতে পারেননি সেটা যাচাই করবেন যাতে একই ভুল আর না হয় আমার পরামর্শ কাজে না আসলে আপনার পছন্দের একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন তবে ধূমপান বন্ধ না করে হাল ছাড়বেন না আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি শীঘ্রই আবার দেখা হবে.