১৪ ফেব্রুয়ারি যে কারণে ইসলামে নাজায়েজ , অভিশপ্ত 14 ই ফেব্রুয়ারি

 ১৪.ফেব্রুয়ারি ইসলামে যে কারণে নাজায়েজ: 🚫



১.১৪ফেব্রুয়ারি রোমকদের লেসিয়াস দেবীর পবিত্র দিন।

২.১৪ ফেব্রুয়ারি রোমানদের বিবাহ দেবী ইউনু-এরবিবাহের পবিএ দিন।


৩.মূলত' বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন একটি রুমান জাহেলী উৎসব। রোমানরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এদিবস পালনের প্রথা অবহিত রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারি 270 খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্যির মৃত্যুতেগের সাথে এ উৎসবটী সম্পর্কিত। বিধর্মীরা এখনো এ দিবসটি পালন করে। বেবিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এ দিবসটি কাটিয়ে থাকে। 


৪.রাসূলুল (সা:) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে সে ব্যক্তি কেয়ামতের সেই জাতির একজন বলে গণ্য হবে আবু দাউদ। 

আবু দাউদ হা/৪০৩১)।


তাই কোনো মুসলমানের জন্য কাফেরদের কোন উৎসব পালন বা সমর্থন করা জায়েজ নয় ।🚫


৫.খ্রিস্টানদের উৎসব বা ইহুদিদের উৎসব যেটা তাদের সাথে খাস এমন কোনো উৎসবের কোন মুসলমান অংশগ্রহণ করবে না।যেমনি ভাবে কোন মুসলমান তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলো ও কেব্লাকে গ্রহণ করে না। 

তাশা বহুল খাসিস বিআহলিল খামিস মাজাল লাতুল হিকমা (৪/১৯৩)

৬.এ দিবস পালনের মধ্যে কাফেরদের সাথে সদৃস্ গ্রহণ, তারা যে বিষয়ে কে মর্যাদা দেয় সেটাকে মর্যাদা প্রদান, তাদের উৎসবের প্রতি সম্মান দেখানো এবং ধর্মীয় বিষয়ে তাদের সাথে সদস্য গ্রহণ করা অর্থ পাওয়া যায়, নাচ গান,বাজনা,পুরুষের মেলামেশা, যা ইসলামে হারাম 🚫


অভিশপ্ত 14 ই ফেব্রুয়ারি ....

এ যেন এক মহা ভালবাসা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা -কে কত উত্তম,বড় ফুলের তোড়া আর কে কত বড় হার্ট, ভালবাসার মানুষটিকে উপহার দিয়ে খুশী বা আনন্দিত করবে।আর এতে করে তাদের মধ্যে মন্দ বা অশ্লীলতার (ব্যভিচার প্রসার লাভ করে;বিবাহ পূর্ব সম্পর্ক গড়ে উঠে) সুবর্ণ সুযোগ আসে ও সহায়ক হয়।মূলতঃ এটি ব্যভিচার বা যিনার (বিবাহপূর্ব সম্পর্ক যা হারাম) সহজ পথ,শয়তানের বাঁধাধরা সুক্ষ পরিকল্পনার একটি বিরাট ফাঁদ।


কারন,বেগানা নারী-পুরুষের কোন নির্জন স্থানে একাকী বাস বা নির্জনতা অবলম্বন শরীয়তে হারাম তথা নিষিদ্ধ।কাজেই শয়তান মানুষকে নিষিদ্ধ কর্মে অনুপ্রাণিত করে অর্থাৎ শয়তান তার ফাঁদে ফেলে দিয়ে মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে দেয়।আর এটাই তার (শয়তানের) বড় সফলতা।

আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ


• '' আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।'' {সূরা বনী ইসরাইলঃ৩২}

• ‘‘ যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি..।’’ {সূরা আন-নূরঃ১৯}


• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “কোন পুরুষ যেন কোন নারীর সাথে একান্তে গোপনে অবস্থান না করে। কারণ,শয়তান উভয়ের কুটনী হয় ”।

>>তিরমিযী,হাঃ১১৭১; মিশকাতুল মসাবীহ,হাঃ৩১০২,৩১১৮;



{অর্থাৎ শয়তান কুটনী সেজে তাদের দু'জনের মধ্যে অবৈধ কামনা-বাসনা জাগ্রত করে তথা ব্যভিচার বা যিনা সংঘটিত করতে চেষ্টা করে।}

হাদিসে এসেছে --

• “কোন ব্যক্তির মাথায় লৌহ সুচ দ্বারা খোঁচা যাওয়া ভালো, তবুও যে নারী তার জন্য অবৈধ তাকে স্পর্শ করা ভালো নয় ”।

>>আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ,আলবানীঃ ২২৬;


দ্বীতিয়তঃ এ দিবস বিজাতিদের দিবস। আর মুশরিক/কাফেরদের অনুসরন বা অনুকরন করা হারাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

• "যে ব্যক্তি কোন জাতি বা সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখল বা অনুসরন করল; সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।" >>আবু দাউদঃ ৩৫১৪;


• '' যে ব্যক্তি যে জাতির সামঞ্জস্যতা অবলম্বন করবে সে কিয়ামতের দিন তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।'' >>আবূ দাউদ,হাঃ ৪/৪০৩১; মুসনাদে আহমদ,হাঃ ২/৫০;


তৃতীয়তঃ ইসলামে এ দিবস বিদ'আতী (নব উদ্ভাবিত) দিবস বলে পরিচিত।যা বর্জনীয়।

• আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত ; রাসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ''যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কথা উদ্ভাবন করল --যা তার মধ্যে নেই,তা প্রত্যাখ্যাতযোগ্য।''

>> সহীহুল বুখারী,হাঃ২৬৯৭ ;মুসলিম,হাঃ১৭১৮;আবু দাউদ,হাঃ৪৬০৬; ইবনে মাজাহ,হাঃ১৪; আহমদ,হাঃ২৩৯২৯,২৪৬০৪,২৮৯৪৪;২৫৫০২,২৬৫৯,২৫৭৯৭; রিয়াদুস সালেহীনঃ১/১৭৩;


হাদিসের অন্য বর্ণনায় এসেছে ---

• “যে ব্যক্তি এমন আমল করবে যার ব্যাপারে আমাদের (শরীঅতে) নির্দেশনা নেই,তা প্রত্যাখ্যাত (বর্জনীয়)।” >> মুসলিম, হাঃ৩২৪৩;


মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সবধরনের হারাম কর্ম-কাণ্ড থেকে হেফাজত করুন।
আমিন ।।
AP Azad
আসবো আবার ও ....


Next Post Previous Post